হার্ড ইমিউনিটি বলতে কী বোঝায়? হার্ড ইমিউনিটি এর মানে কী?
রচনা : - সাইফুল মুন্না।
ইংরেজী 'হার্ড' শব্দটির উৎপত্তি 'ভেড়ার পাল' হতে। আর 'ইমিউনিটি' বলতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বুঝায়।
যদি একটি ভেড়ার পালকে সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে টিকা দেয়া হয়, তাহলে ১০০ টির মধ্যে ৮০ টিকে টিকা দিলে বাকি ২০ টি ভেড়া এমনিতেই সুস্থ হয়ে উঠবে। বাকি ভেড়াগুলোকে টিকা দেয়া না হলেও তাদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে এবং তারা কোনো টিকা ছাড়াই সুস্থ হয়ে উঠবে। এটিকে বলা হয় "হার্ড ইমিউনিটি"।
অন্যকথায়, যদি কোনো এলাকায় কোনো রোগের সংক্রমণ দেখা দেয়,আর তা রোধে বেশিরভাগ মানুষকে টিকা দেয়া হয়, তাহলে ঐ রোগটি আর ছড়াতে পারে না। তখন বাকিরা নিরাপদ থাকেন।
উদাহরণস্বরুপ, যদি কোনো দেশে হাম ছড়ায় আর তা রোধে বেশিরভাগ মানুষকে টিকা প্রদান করা হয়,তাহলে বাকি যাদেকে টিকা দেয়া হয় নি, তারা এ রোগে আক্রান্ত হবে না।
এখন কথা হচ্ছে,করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে এ হার্ড ইমিউনিটি কাজ করবে কি না!
যেহেতু, করোনার জন্য এখনো কোনো টিকা আবিষ্কৃত হয় নি, তাই এ পদ্ধতি প্রয়োগ সম্ভব কি না তা বলা যাচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে, যারা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে,তাদের মধ্যে একটা ভাইরাস প্রতিরোধ ব্যাবস্থা গড়ে উঠছে। এভাবে যদি অধিকাংশ মানুষ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়, তাহলে বড় পর্যায়ে একটি প্রতিরোধ বলয় বা হার্ড ইমিউনিটি তৈরী হবে। তখন আক্রান্তের হার এমনিতে কমে আসবে।
তবে করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হলে ৯০ ভাগ মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে হবে। আর এতে অসংখ্য মানুষ মারাও যাবে।
বাংলাদেশে হার্ড ইমিউনিটি তৈরী করতে হলে ১০ জনে ৯ জনকে আক্রান্ত হতে হবে অর্থাৎ ১৭ কোটির মধ্যে ১৬ কোটি মানুষকে ভাইরাসে আক্রান্ত হতে হবে। এ বিপুল সংখ্যাক মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার সক্ষমতা বাংলাদেশের নেই।ফলে অসংখ্য মানুষ মারা যাবে।
তাই বাংলাদেশ এবং এককথায় অন্যান্য সকল দেশের ক্ষেত্রে এ ব্যাবস্থা গ্রহন করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এবং কোনো দেশই হার্ড ইমিউনিটির পথে আগাবে বলে মনে হয় না।
তথ্য সহযোগিতায় :বিবিসি।
যদি একটি ভেড়ার পালকে সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে টিকা দেয়া হয়, তাহলে ১০০ টির মধ্যে ৮০ টিকে টিকা দিলে বাকি ২০ টি ভেড়া এমনিতেই সুস্থ হয়ে উঠবে। বাকি ভেড়াগুলোকে টিকা দেয়া না হলেও তাদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে এবং তারা কোনো টিকা ছাড়াই সুস্থ হয়ে উঠবে। এটিকে বলা হয় "হার্ড ইমিউনিটি"।
অন্যকথায়, যদি কোনো এলাকায় কোনো রোগের সংক্রমণ দেখা দেয়,আর তা রোধে বেশিরভাগ মানুষকে টিকা দেয়া হয়, তাহলে ঐ রোগটি আর ছড়াতে পারে না। তখন বাকিরা নিরাপদ থাকেন।
উদাহরণস্বরুপ, যদি কোনো দেশে হাম ছড়ায় আর তা রোধে বেশিরভাগ মানুষকে টিকা প্রদান করা হয়,তাহলে বাকি যাদেকে টিকা দেয়া হয় নি, তারা এ রোগে আক্রান্ত হবে না।
এখন কথা হচ্ছে,করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে এ হার্ড ইমিউনিটি কাজ করবে কি না!
যেহেতু, করোনার জন্য এখনো কোনো টিকা আবিষ্কৃত হয় নি, তাই এ পদ্ধতি প্রয়োগ সম্ভব কি না তা বলা যাচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে, যারা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে,তাদের মধ্যে একটা ভাইরাস প্রতিরোধ ব্যাবস্থা গড়ে উঠছে। এভাবে যদি অধিকাংশ মানুষ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়, তাহলে বড় পর্যায়ে একটি প্রতিরোধ বলয় বা হার্ড ইমিউনিটি তৈরী হবে। তখন আক্রান্তের হার এমনিতে কমে আসবে।
তবে করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হলে ৯০ ভাগ মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে হবে। আর এতে অসংখ্য মানুষ মারাও যাবে।
বাংলাদেশে হার্ড ইমিউনিটি তৈরী করতে হলে ১০ জনে ৯ জনকে আক্রান্ত হতে হবে অর্থাৎ ১৭ কোটির মধ্যে ১৬ কোটি মানুষকে ভাইরাসে আক্রান্ত হতে হবে। এ বিপুল সংখ্যাক মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার সক্ষমতা বাংলাদেশের নেই।ফলে অসংখ্য মানুষ মারা যাবে।
তাই বাংলাদেশ এবং এককথায় অন্যান্য সকল দেশের ক্ষেত্রে এ ব্যাবস্থা গ্রহন করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এবং কোনো দেশই হার্ড ইমিউনিটির পথে আগাবে বলে মনে হয় না।
তথ্য সহযোগিতায় :বিবিসি।
সুন্দর লেখা। বিসিএসের জন্য প্রয়োজনীয় বই
ReplyDeleteMp3 book series pdf download করুন